মো. হারুন অর রশীদ
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িয়ে আছে আগরতলার নাম। বিশেষ করে আগতলা ‘ষড়যন্ত্র’ মামলা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কৌশলগত কারণে পাকিস্তান আমলে মামলাটিকে মিথ্যা প্রমাণ করার প্রমাণ করার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু এখন সময় এসেছে সত্য প্রকাশ করার এবং সেই সময়ে যারা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে আগরতলায় বসে চেতনার সিড়ি রচনা করেছিলেন তাদের অবদানকে স্বীকার করার। এ প্রসঙ্গে কয়েক বছর আগে একটি অনুষ্ঠানে তৎকালীন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী আগরতলা মামলাকে একটি ঐতিহাসিক এবং সত্য মামলা উল্লেখ করে বলেছিলেন, ঐতিহাসিক কারণে এটির প্রয়োজন ছিল এবং প্রয়োজনের তাগিদেই জীবন বাজী রেখে এ ঘটনা ঘটানো হয়। এটা কোন মিথ্যা মামলা ছিল না। এ ঘটনা ঘটানোর একটিই উদ্দেশ্য ছিল সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করা। ঘটনার পরিসমাপ্তিও হয়েছে সেপথেই। সুতরাং আগরতলা মামলা জাতির ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য অংশ।
আমাদের সময় ডট কমে ১৮ আগস্ট ২০১৫-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করা হয়েছে,‘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান জনযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করার পরিকল্পনা করেছিলেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময়ে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে লে: কমান্ডার মোয়াজ্জেমের নেতৃত্বে সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ মুক্ত করার পরিকল্পনা ধরা পড়ে যায়। শুরু হয় বঙ্গবন্ধু, মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অন্যান্যের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্তদের শুনানি। এ সময়েই তিনি জনযুদ্ধের পরিকল্পনা করেন। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন সামরিক যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ আর স্বাধীন করা করা সম্ভব নয়। জনযুদ্ধই একমাত্র পথ। এবং সেভাবেই তিনি পরিবেশটা তৈরি করেছিলেন।