আমাদের পরিবেশ ডেস্ক: পাখিদের জন্য মৃত্যু-জাল। খাবার চোখের
সামনে। কিন্তু গেলেই সাক্ষাত্ মৃত্যু।
ওরা আসে। কিন্তু জানে না যে, আসলে
এই লিচু বাগানে পাতা রয়েছে মরণ ফাঁদ।
পশ্চিমবঙ্গের ব্যান্ডেল, দেবানন্দপুর, নলডাঙাসহ
বহু জায়গায় প্রচুর লিচুর চাষ। বছরের এই সময় গাছ ভর্তি থাকে ফলে।
রাতের বেলায় লিচুর টানে আসে বাদুর। ফল
নষ্ট হওয়া আটকাতে নাইলনের জাল
দিয়ে গোটা বাগান মুড়ে ফেলেছেন চাষিরা।
বাদুর-চামচিকে তো মরছেই। কিন্তু ওই
জালে জড়িয়ে মরতে হচ্ছে পাখিদেরও।
মাছরাঙা, কাঠঠোকরা, হারিচাঁচা, ছাতার..কোন
পাখি নেই!
খাবারের টানে এসে মৃত্যুফাঁদে পা দিচ্ছে
বহু বিরল প্রজাতির পাখি।
কিচ্ছু করা সম্ভব নয় বলে চাষিরা হাত
তুলে নিলেও, এগিয়ে এসেছেন এক জন।
ব্যান্ডেলের বাসিন্দা, বন্যপ্রাণ
প্রেমী চন্দন ক্লেমেন্ট সিং। পাখি বাঁচাতে লিচু বাগানগুলোতে
ডেরা বেঁধেছেন তিনি।
পাখিদের বাঁচানোর এই লড়াইয়ে চন্দনবাবুর
হেল্পার, মেয়ে জিটা। বাবার
পাখিপ্রেম অণুপ্রাণিত করেছে তাকেও। তবে
পাখি বাঁচাতে সব সময়, সব জায়গায়
পৌঁছানো সম্ভব হয় না তাদের পক্ষেও। চাই
প্রশাসনের হস্তক্ষেপ। কারণ সরকার
বিষয়টিতে নজর না দিলে, এ
জাল কাটা অসম্ভব। পাখিরা আমাদের সুন্দর পরিবেশের অংশ। ওদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে আামদের পরিবেশে। তাই লিচু রক্ষার নামে এই নিষ্ঠুর পাখি হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন