আমাদের পরিবেশ ডেস্ক: অপরকল্পিত
নরয়ানের ফলে রাজধানী ঢাকা হারাচ্ছে মানুষ বসবাসের উপযোগী পরিবেশ। ঢাকায় ক্রমবর্ধমান নগরমুখীতা এবং দ্রুত
নগরায়নের সাথে তাল মিলিয়ে
পরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠছে না।
ফলে নাগরিক সুবিধার অসম বণ্টন এবং
চরম বৈষম্যমূলক নীতি প্রণয়নসহ অবকাঠামো
কেন্দ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও
বাস্তবায়নে জীবনযাত্রা এবং পরিবেশ
মারাত্মকভাবে উপেক্ষিত থাকছে। সব
শ্রেনী-পেশা ও বয়সের মানুষের নিরাপত্তার
কথা বিবেচনা করে, মানুষের জন্য
বাসযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব নগর তাই ঢাকার
অন্যতম প্রধান সমস্যা।
অবস্থা এতই খারাপ যে, এশিয়ার
পঞ্চম নিকৃষ্টতম শহর এখন ঢাকা।
![]() |
অপরিকল্পিত নগরায়নে ঢাকা হারাচ্ছে মানুষ বসবাসের উপযোগী পরিবেশ |
আর জীবন-মানের বিবেচনায় বিশ্বের ২৩০টি শহরের
মধ্যে ঢাকার অবস্থান ২১১তম।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জরিপ প্রতিষ্ঠান
মারসার প্রকাশিত ‘কোয়ালিটি অব লিভিং র্যাংকিং ২০১৫’ শীর্ষক
প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মারসার চলতি বছর বিশ্বের
বিভিন্ন শহরের ওপর সমীক্ষা চালায়। এ ক্ষেত্রে ১০টি বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়।
সেগুলো হলো রাজনীতিক ও সামাজিক পরিবেশ,
চিকিৎসা সেবা ও স্বাস্থ্যগত
পরিস্থিতি, সরকারি সেবা ও পরিবহন ব্যবস্থা,
ভোগ্যপণ্যের অবস্থা, বিনোদনের
ব্যবস্থা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশ,
প্রাকৃতিক পরিবেশ, গৃহায়ণ
ও আবাসন ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক পরিবেশ এবং বিদ্যালয় ও শিা ব্যবস্থা। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিশ্বের ৪৬০টি শহরের তথ্য সংগ্রহ করে
প্রতিষ্ঠানটি। পরে ২৩০টি শহর নিয়ে মূল তালিকা তৈরি করা হয়। এ ছাড়া অঞ্চলভেদেও
বিভিন্ন শহরের অবস্থানের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
একটি শহরের জীবনযাত্রার মান
নির্ধারণে কিছু প্রশ্ন তুলে ধরে মারসার। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি অবকাঠামো, পরিবহন
ব্যবস্থা ও মেধা আকর্ষণের দিক থেকে শহরটি আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিকভাবে
কতটুকু আকর্ষণীয়? শহরটি অর্থনৈতিক,
সামাজিক,
সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগতভাবে
কতটুকু প্রতিযোগিতা করতে সম?
বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের জন্য শহরটি কতটুকু আকর্ষণীয়? আর বিদেশীদের চাকরি খোঁজার েেত্র শহরটির বিশেষত্ব বা শক্তিশালী
দিক কী? এসবের
প্রতি ক্ষেত্রেই ঢাকা শহর বেশ পিছিয়ে রয়েছে।
মারসারের প্রতিবেদনে এ
প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, সরকারি অবকাঠামো ও পরিবহন ব্যবস্থার েেত্র সবচেয়ে
অপরিকল্পিত শহর ঢাকা। এখানে নিয়মিতই যানজট লেগে থাকে। ২০ মিনিটের গন্তব্যে
পৌঁছতে কখনো ২ ঘণ্টাও লেগে যায়। মেধা আকর্ষণের দিক থেকেও ঢাকা বেশ পিছিয়ে
রয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশ থেকে শিার্থীরা ঢাকায় খুব কম আসেন। তবে আশপাশের
কিছু দেশ থেকে সীমিত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী উচ্চ শিার জন্য ঢাকায় আসেন।
অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হলেও ঢাকায়
আয়বৈষম্য ব্যাপক। কিছু এলাকায় বহুতল ভবন গড়ে উঠলেও পাশাপাশি বস্তি দেখা
যায়। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ কিছুটা উন্নত। তবে পরিবেশগত অবস্থা খুব
একটা ভালো নয়। প্রচুর ধুলোবালি ও দূষণের কারণে ঢাকা শহরের বায়ুর গুণগত মান
খুবই খারাপ। ফলে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে ঢাকা অনেক পেছনের সারিতে। একইভাবে
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণেও ঢাকা পেছনের সারির গন্তব্য। তবে ঢাকায়
বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানিতে মধ্য ও শীর্ষ পদে প্রচুর বিদেশি কর্মরত।
এদিক থেকে ঢাকা কিছুটা ভালো অবস্থানে আছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা
বিভাগের অধ্যাপক ড. সারওয়ার জাহান বলেন, ক্রমে
অপরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে উঠেছে রাজধানী শহর ঢাকা। জনসংখ্যার চাপে
কোনো উদ্যোগেই সাফল্য আসেনি। এ ছাড়া নেই পরিকল্পিত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
ফলে বাড়ছে যানজট। সরকারিভাবেও সুষ্ঠু ও পরিকল্পিত বিনোদন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।
আর দূষণ ও ধুলোবালি তো আছেই। ফলে ক্রমেই বাসঅযোগ্য শহর হয়ে পড়ছে ঢাকা। এ
অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার সঠিক বাস্তবায়ন
প্রয়োজন।
মারসারের সমীায় দেখা যায়, বিশ্বের
আদর্শ বা বাসোপযোগী শহরের শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সুইজ্যারল্যান্ডের জুরিখ ও তৃতীয়
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে জার্মানির মিউনিখ ও
কানাডার ভ্যাঙ্কুভার। শীর্ষ ১০-এ এরপর রয়েছে যথাক্রমে জার্মানির
ডাসেলডোরফ, ফ্রাংকফুর্ট, সুইজারল্যান্ডের জেনেভা, ডেনমার্কের
কোপেনহেগেন ও অস্ট্রেলিয়ার সিডনি।
মারসার আরো জানায়, বিশ্বের
সবচেয়ে নিকৃষ্ট শহর হলো ইরাকের বাগদাদ,
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের বাঙ্গুই ও হাইতির পোর্ট অব প্রিন্স। এ তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে
রয়েছে সুদানের খার্তুম ও চাদের এনজামিনা।
সমীার তথ্যমতে, এশিয়ার শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর, বৈশ্বিক
প্রোপটে যার অবস্থান ২৬তম। এশিয়ার শীর্ষ পাঁচ বাসযোগ্য শহরের বাকি চারটি
জাপানের। এগুলো হলোÑ টোকিও,
কোবে,
ইকোহামা ও ওসাকা। বৈশ্বিক প্রোপটে
এগুলোর অবস্থান যথাক্রমে ৪৪, ৪৭,
৪৮ ও ৫৮।
আর এশিয়ার নিকৃষ্টতম শহরের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ। শীর্ষ পাঁচে এরপর রয়েছে
যথাক্রমে ইয়েমেনের সানা,
সিরিয়ার দামেস্ক, তাজিকিস্তানের
দুশানবে ও বাংলাদেশের ঢাকা।
বৈশ্বিক প্রোপটে শহরগুলোর অবস্থান
যথাক্রমে ২২৫, ২২০, ২১৪ ও ২১১।
এ প্রসঙ্গে নগর
পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন,
মারসারের তালিকায় নিকৃষ্ট শহরগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই যুদ্ধপ্রবণ বা নিম্ন আয়ের।
এ েেত্র ব্যতিক্রম শুধু ঢাকা। এর মূল কারণ সুষ্ঠু নগর পরিকল্পনা গ্রহণ
ও তা বাস্তবায়নের অভাব। স্বাধীনতার পর থেকে ঢাকার উন্নয়নে বেশকিছু
পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনোটিই পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি, যার
ফল আজকের অপরিকল্পিত ঢাকা। তাই পরিকল্পনা গ্রহণের সময়ই সরকারের এ
সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে,
তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করা হবে। তবেই
পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব।
পরিস্থিতি উত্তরণে কিছু সমীার
শেষে তিনটি সুপারিশ তুলে ধরে মারসার। এতে বলা হয় ভবিষ্যৎ উন্নয়নের
চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা, সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য ও
মেধা আকর্ষণের চেষ্টা করা। এতে নিকৃষ্ট শহরগুলো ক্রমে উন্নতি করতে পারবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের
(বুয়েট) এক গবেষণায় দেখা গেছে, নগরীতে বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে
ওঠা অবকাঠামোর ৭৩ শতাংশই পুরোপুরি অপরিকল্পিত। অপরিকল্পিত অবকাঠামোর
কারণে যানজট আর জলাবদ্ধতার শহরে পরিণত হয়েছে রাজধানী ঢাকা। সেই সাথে যুক্ত
হয়েছে পানিতে দুর্গন্ধ,রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা,
ঢাকনা বিহীন ম্যানহোল, যত্রতত্র
ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, মশা-মাছির যন্ত্রণাসহ আবাসন সংকট। ভূমি
ব্যবহারের যথাযথ নীতিমালা না মেনে গড়ে উঠেছে বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন।
জলাশয় ও নিম্নাঞ্চল ভরাট করে গড়ে ওঠা
অপরিণামদর্শী উন্নয়নের ফলে
অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে রাজধানীর
পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা। অপ্রতুল সড়ক
ব্যবস্থার কারণে বিপর্যস্ত হয়েছে পরিবহন
খাত। শহরের বাসিন্দাদের নির্বিঘ্নে
যাতায়াতের জন্য মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ
সড়কের প্রয়োজন হলেও রাজধানীতে রয়েছে
মাত্র ৮ শতাংশ। এখানে মোট সড়কের আয়তন ১
হাজার ২৮৬ কিলোমিটার। তার ৫২ শতাংশই
আবার মোটরযান চলাচলের অনুপযোগী। এ কারণে
প্রতিনিয়ত বাড়ছে যানজট।
গবেষক দলের প্রতিনিধি বুয়েটের সহকারী
অধ্যাপক এসএম সোহেল মাহমুদ এ
প্রসঙ্গে জানান, অপরিকল্পিতভাবে
গড়ে ওঠায় ঢাকা শহরে নিত্যদিনের ভোগান্তি
বাড়ছে। প্রধান সড়ককে কেন্দ্র করে
বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে ওঠায় যানজটের প্রকোপ বেড়েছে। জলাবদ্ধতার
কারণও অপরিকল্পিত উন্নয়ন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা
শহরের উন্নয়নে কার্যকর কোনো নীতিমালা
না থাকায় যেখানে সেখানে গড়ে ওঠা এ
অবকাঠামোর ফলে ভূমির যথাযথ ব্যবহার
হচ্ছে না। ১৯৫৯ সালে মাস্টারপ্ল্যানের
ভিত্তিতে গড়ে ওঠে এ শহর। নিয়ন্ত্রণে
শৈথিল্যের কারণে এ শহরের অবকাঠামো
উন্নয়নে সে প্ল্যানও অনুসরণ করা হয়নি। ওই সময়ের তুলনায় এখন
জনসংখ্যা বেড়েছে ৩০ গুণ। সে অনুযায়ী মাস্টারপ্ল্যান আধুনিকায়ন করা হয়নি, যার
প্রভাব পড়েছে অন্যান্য উন্নয়নে।
ঢাকার যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন। সে অনুযায়ী সড়ক না থাকার কারণে যানজট বেড়েছে বহুগুণ। শহরকেন্দ্রিক বিভিন্ন সংস্থার প্রধান দফতর ও বিমানবন্দর পরোক্ষভাবে যানজট বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার এ নাজুক পরিস্থিতি উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিয়েছে ঢাকা শহরের অধিবাসীদের। যানজট কমাতে স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হলেও মিলছে না তার সুফল। বরং এসব উদ্যোগ এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে নগরবাসীর। দীর্ঘমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা ছাড়া এ অবস্থা চলতে থাকলে একসময় তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ঢাকার যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন। সে অনুযায়ী সড়ক না থাকার কারণে যানজট বেড়েছে বহুগুণ। শহরকেন্দ্রিক বিভিন্ন সংস্থার প্রধান দফতর ও বিমানবন্দর পরোক্ষভাবে যানজট বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার এ নাজুক পরিস্থিতি উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিয়েছে ঢাকা শহরের অধিবাসীদের। যানজট কমাতে স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হলেও মিলছে না তার সুফল। বরং এসব উদ্যোগ এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে নগরবাসীর। দীর্ঘমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা ছাড়া এ অবস্থা চলতে থাকলে একসময় তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নীতিমালা
মেনে অবকাঠামো গড়ে তোলার
মতো উঁচু জমি নেই রাজধানীতে। এখানকার
মাত্র ২৫ শতাংশ ভূমি স্থাপনা
নির্মাণের উপযুক্ত। বাকি অংশ নিম্নাঞ্চল
বা বন্যাপ্রবণ এলাকা হিসেবে
চিহ্নিত। এ ঝুঁকির মধ্যেই অবকাঠামো
নির্মাণ করায় প্রতি বছর প্রতিস্থাপন ও
রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ৭০০-৮০০ কোটি টাকা
খরচ হয়। এছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে
ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ১৩৩টির বেশি
পাম্প রয়েছে। এসব পাম্প
রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও বড় অঙ্কের অর্থ
ব্যয় হয়, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদ্বেগের।
বর্তমানে ঢাকা শহরের ৬২ শতাংশ ভূমিতে
গড়ে উঠেছে আবাসিক এলাকা। এর মধ্যে
২৫ শতাংশ ভূমিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী এবং
বাকি ৩৭ শতাংশে অপরিকল্পিত আবাসন
ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া ৮ শতাংশ ভূমিতে
বাণিজ্যিক ও ৯ শতাংশে প্রশাসনিক
অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। ৪ শতাংশ
জায়গায় উন্মুক্ত জলাশয়সহ ১০ শতাংশ ভূমিতে গড়ে উঠেছে সেনানিবাস
এবং ২ শতাংশে বিমানবন্দর। পরিকল্পিত কোনো মাস্টারপ্ল্যান না
থাকায় শহরের প্রাণকেন্দ্রে গড়ে উঠেছে বড় বড় প্রশাসনিক ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়
ও বিমানবন্দর। শহরের ১২ শতাংশ জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনা প্রভাব ফেলছে
সামগ্রিক উন্নয়নে।
এদিকে ঢাকা শহরে দিন দিন কমছে গাছপালা ও
খোলা জায়গার পরিমাণ। প্রথম
মাস্টারপ্লানে ৫ শতাংশ খোলা জায়গা ছিল।
গত ৫৪ বছরে খোলা জায়গার পরিমাণ কমে
পৌঁছেছে ৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন