Powered By Blogger

শনিবার, ১৬ মে, ২০১৫

বজ্রপাত থেকে কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন



প্রকৌশলী জি এম এম কামাল পাশা



বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ হলেও সবচেয়ে দাপুটে ঋতু হচ্ছে বর্ষা। প্রকৃতিতে পরিবর্তনের হাওয়া লেগে বর্ষা এখন শরত্ জুড়ে দীর্ঘায়িত। মেঘের গুরুম গুরুম আওয়াজ, সাথে ঝমঝমানি বৃষ্টি। কখনও টিপ টিপ, কখনও ঝরঝর, কখনও সাঁ সাঁ বেগে। সকাল-সন্ধ্যা দিগন্ত জুড়ে কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। বিজলী চমকে ওঠে থেমে থেমে। বজ্রের কান ফাটানো আওয়াজে ধরিত্রী কেঁপে ওঠে। বিজলী চমকে গিয়ে যখন গগনবিদারী আওয়াজ হয় তখন আমরা বলি ঠাটা পড়ছে। এই ঠাটা পড়াকেই বাজপড়া বা বজ্রপাত বলে ।

আমরা যারা গাঁয়ের ছেলে, বর্ষাকালে বজ্রের তান্ডব স্বচক্ষে দেখেছি। সকাল দুপুর ঝমঝমানি বৃষ্টি। বিদ্যুতের আলোরেখা ঝলক দিয়ে মেঘ এমনভাবে গর্জে ওঠে যেন আকাশ ভেঙে পড়ছে। দুরে বা কাছে কোথাও বাজ পড়ার বিকট শব্দ থেকে বাঁচতে কানের উপর হাত চাপা দিয়ে বারান্দা থেকে দৌড়ে ঘরে চলে যেতাম। যারা আরও ছোট ছিল তারা ভয়ে কেঁদেই ফেলত। এখনও দৈত্যের মত কালো মেঘের বুকে যখন বিজলী চিড়বিড়িয়ে ওঠে, বজ্রের গর্জনে ঘরবাড়ি কেঁপে যায়, মনে হয় জানালা দিয়ে ঠা-টা ঢুকে গেল ঘরের ভিতর, ভয়ে আল্লাহর নাম জপি মনে মনে।


শুধু গ্রামে নয়, শহর এলাকায়ও বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। শহর এলাকায় সাধারণত উঁচু টাওয়ার বা উঁচু দালানের উপর এটি পতিত হয়। ঐসব স্থাপনায় বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা থাকে বলে ক্ষয়ক্ষতি হয় না। যখন নটরডেম কলেজে আই এস সি পড়ি, পদার্থ বিদ্যার মিত্র স্যার স্থির বিদ্যুত্ পড়াতে গিয়ে ঠাটা পড়ার ব্যাখ্যা দিতেন। ঘন মেঘে ঢাকা আকাশে যখন বিজলী চমকে যায়, তখন পৃথিবীর উঁচু উঁচু বস্তুগুলোর শীর্ষে বিপরীতধর্মী চার্জ তৈরী হয়। বিপরীত চার্জের আকর্ষণে ঐসব বস্তুর মাথায় বাজ পড়ে। তিনি বলতেন, নৌকায় বাজ পড়ে যদি মাস্তুল খাড়া থাকে। খোলা মাঠে মানুষ দৌড়ালে তার মাথায় বাজ পড়তে পারে। ঠাটাপড়া দিনে ছাতা মুড়ি দিলে, ছাতার লাঠির মাথায় বাজ পড়ে। তেমনি উঁচু গাছ বা উঁচু দালানের উপরও বাজ পড়ে। এজন্য দালানে যাতে বাজ না পড়ে সেজন্য বজ্রনিরোধক স্থাপন করা হয়। বসতঘরটি দালান না হলে তার একেবারে কাছে কোন গাছ রাখা ঠিক নয়।

পরিণত বয়সে এসে বজ্রপাত নিয়ে জানার ইচ্ছেটা যখন বেড়ে গেল, তখন পড়তে পড়তে মিত্র স্যারের কথাগুলো কানে বাজতে লাগল। আইএসসি ক্লাসে পড়ার সময় স্যারের কথাগুলো পুরোপুরি বুঝতে না পারলেও এখন কিছু বুঝতে পারি কেন, কোথায় বাজ পড়ে। কাজেই বাজ পড়ার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জেনে আমরা যদি সতর্ক হতে পারি তবে বজ্র দুর্ঘটনায় প্রাণহানি অনেক কমে যেতে পারে। তবে একথা স্বীকার না করে উপায় নেই যে, শত শত বছরের বৈজ্ঞানিক গবেষণা সত্ত্বেও আকাশের কালো মেঘে কিভাবে বিজলী চমকে যায় তার পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা আজও মানুষের অজানা। একটি মেঘখণ্ডের অভ্যন্তরে দুইটি স্থানে বা দুইটি মেঘখণ্ডের মধ্যে বা একটি মেঘখণ্ড ও ভূ-পৃষ্ঠের মধ্যে অত্যধিক পরিমাণ পজিটিভ ও নেগেটিভ চার্জ তৈরী হলে ঐ স্থানসমূহের মধ্যে বিদ্যুত্ প্রবাহের মাধ্যমে পরস্পর চার্জমুক্ত হয়। এই প্রবাহই বিদ্যুত্ চমক হিসাবে আমাদের দৃষ্টিগোচরে আসে এবং এটি যদি ভূ-পৃষ্ঠে আঘাত করে তবে তাকে বজ্রপাত বলে।

মেঘ ও ভূ-পৃষ্ঠের মধ্যে পরস্পর চার্জ নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য বিজলীর যে চমক ঘটে তা ভালভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। কিন্তু একটি মেঘখণ্ডের অভ্যন্তরে দুইটি স্থানে বা দুইটি মেঘখণ্ডের মধ্যে চার্জ নির্গমনের ফলে যে বিদ্যুত্ চমক হয় তা মনিটর করা কঠিন বিধায় সহজবোধ্য নয়।

যদিও মনে হয় আকাশে বিজলী চমকে যাওয়ার সাথে সাথে বজ্রের গর্জন শুনতে পাওয়া যায়, প্রকৃতপক্ষে এটি ঠিক নয়। আলোর গতিবেগ শব্দের গতিবেগের চেয়ে অনেক বেশি বিধায় দূরবর্তী আলোকবর্তিকা দেখার অনেক পরে বজ্রের আওয়াজ শোনা যায়। ভূ-পৃষ্ঠে স্থানিক অবস্থান, উচ্চতা, বিদ্যমান বায়ুপ্রবাহ, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ, উষ্ণ ও শীতল পানির জলাধারের অবস্থান ইত্যাদি ফ্যাক্টরের উপর বিদ্যুত্ চমকের পৌনপুনিকতা, ব্যাপ্তি ও তীব্রতা অনেকটাই নির্ভর করে। প্রাথমিকভাবে যখন বায়ুমণ্ডলে গরম বাতাস ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে মিলিত হয় তখন পজিটিভ ও নেগেটিভ পোল তৈরী হয়ে বিদ্যুত্ চমক ঘটে। তবে ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো ও অগ্নুত্পাতের সময় বা বনে আগুন লাগলেও এটি হতে পারে। এমনকি শীতকালে শৈত্য প্রবাহকালে থান্ডার-স্নো ঘটতে পারে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশগুলোতে বায়ুমণ্ডলে অস্থিরতা বেশি বিধায় প্রায় সত্তর শতাংশ বিদ্যুত্ চমকের ঘটনা ঘটে থাকে। বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার পার্থক্যের কারণে এটি হতে পারে এবং সাধারণত দুই রকম বাতাসের বর্ডার লাইনে এটি সংঘটিত হয়।

বিদ্যুত্ চমকের উত্পত্তিস্থলে নেগেটিভ চার্জ থাকে। উত্পত্তিস্থল এমন উচ্চতায় থাকে যেখানে মেঘের ভিতর ফ্রিজিং চলতে থাকে। ফ্রিজিং এর সাথে বরফ খণ্ড ও পানির সংঘর্ষ একত্রিত হয়ে চার্জ ডেভেলপমেন্ট ও পৃথকীকরণের জটিল প্রক্রিয়া শুরু হয়। সংঘর্ষকালে বরফ দানাগুলো পজিটিভ চার্জ তৈরী করে; পক্ষান্তরে বরফ ও পানির স্লাশি মিশ্রণ (গ্রপেল) যা তুলনামূলক ভারী নেগেটিভ চার্জ তৈরী করে। ঝড়ো মেঘের ভিতরে হালকা বরফ দানাগুলো ভারী গ্রপেল থেকে পৃথক হয়ে মেঘের উপরের অংশে পজিটিভ চার্জ তৈরী করে এবং নীচের অংশে নেগেটিভ চার্জ তৈরী হয়। স্থির বিদ্যুত্ নির্গমনের দুইটি পূর্বশর্ত হল-

ক) দুইটি স্থানের মধ্যে যথেষ্ট উচ্চ মাত্রার বিপরীতধর্মী চার্জ থাকতে হবে (বিদ্যুত্ বিভবের পার্থক্য)। খ) ঐ স্থানসমূহের মধ্যে উচ্চ রেজিস্ট্যান্স সম্পন্ন মাধ্যম থাকবে যা চার্জ সমতাকরণে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে।

বায়ুমণ্ডলে বৈদ্যুতিক ইনসুলেশন তৈরী হয়। অর্থাত্ দুইস্থানের বিপরীত ধর্মের চার্জ সমতাকরণের ক্ষেত্রে বাঁধা সৃষ্টি করে যা বিদ্যুত্ চমকের মত জটিল প্রক্রিয়া দ্বারা অতিক্রান্ত হয়। মেঘের ভিতর ঘনীভূত চার্জ বাতাসের বিদ্যুত্ নিরোধক বৈশিষ্ট্য অবশ্যই অতিক্রম করে এবং মেঘ ও ভূমির দূরত্বের সাথে সমানুপাতিক হারে এটি বাড়ে। মেঘ যখন ভূমির কাছাকাছি থাকে তখন ক্লাউড টু গ্রাউন্ড বিদ্যুত্ চমকের পরিমাণ ক্লাউড টু ক্লাউড বা ইনট্রা ক্লাউড চমকের চেয়ে বৃদ্ধি পায়।

সাধারণত পুঞ্জীভূত ও ঘন কালো মেঘ থেকে বিদ্যুত্ চমক তৈরী হয়। এই সব মেঘের বেজ ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১-২ কিলোমিটার উপরে থাকে এবং উচ্চতায় ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পূর্ব কংগোর কিফুকা পর্বতমালার ছোট্ট গ্রামে পৃথিবীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বেশি বিদ্যুত্ চমকের ঘটনা ঘটে যার উচ্চতা ভূমি থেকে প্রায় ৩২০০ ফুট (৯৭৫ মিঃ)। এই অঞ্চলে বছরে প্রতি বর্গকিলোমিটারে গড়ে ১৫৮ বার বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। বিদ্যুত্ চমকের অন্য হটস্পটগুলো হচ্ছে ভেনেজুয়েলার ক্যাটাটুম্বু, উত্তর ব্রাজিলের টেরেসিনা এবং মধ্য ফ্লোরিডার লাইটনিং এলে। সারা পৃথিবীতে প্রতি সেকেন্ডে ৪০-৫০ বার বিদ্যুত্ চমক হয়। সেই হিসাবে বছরে এর মোট সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় একশ চল্লি¬ কোটি বার।

বজ্রপাত হল আয়নিত বাতাসের একটি সরু পথ। বজ্রাঘাতে মানুষ বা প্রাণী আহত বা নিহত হতে পারে। আবার দালান বা উঁচু কাঠামো বজ্রাঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বজ্র যদি নিরাপদে মাটিতে যাওয়ার পথ না পায় তবে সম্পত্তি অথবা মানুষ বা প্রাণীর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এটি কোন বিল্ডিংয়ের ভিতর দিয়ে পথ খুঁজতে পারে। আবার ধাতব বস্তু বা পাইপের কাছে দাঁড়ানো কোন মানুষ বজ্র বিদ্যুতের পথে পরিণত হতে পারে। এজন্য বজ্রপাতের সময় প্ল¬াম্বিং ও ধাতব যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকা ভাল। আর যদি স্থানটি খোলা জায়গা হয় তবে উঁচু বস্তু যথা-গাছ, বৈদ্যুতিক বা টেলিফোন লাইনের পোল ইত্যাদি থেকে নিরাপদ দূরত্বে মাটিতে শুয়ে থাকা উত্তম।

বজ্রপাতে কোন বিল্ডিংয়ের ক্ষতির সম্ভাব্যতা কমিয়ে আনা যায় যদি উপযুক্ত বজ্রনিরোধক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়। দালানের সর্বোচ্চ বিন্দু থেকে মাটি পর্যন্ত বৈদ্যুতিক পথ তৈরী করাই বজ্রনিরোধক ব্যবস্থার উদ্দেশ্য। একটি দালানের বজ্র প্রতিরোধ ব্যবস্থায় থাকে একটি এয়ারটার্মিনাল বা লাইটনিং রড যা দালানের সর্বোচ্চ বিন্দু যথা-সাইলো, ছাদ বা চিমনিতে স্থাপন করা হয়। এছাড়া থাকে সংযোগ তার ও গ্রাউন্ডিং ইলেকট্রোড। বজ্র প্রতিরোধের জন্য দালানের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় অবশ্যই ভাল গ্রাউন্ডিং থাকতে হবে এবং তা আলাদা গ্রাউন্ড সিস্টেমের সাথে যুক্ত হতে হবে। একই সাথে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যথা- কম্পিউটার, ফ্রিজ, টিভি ইত্যাদি রক্ষা করার জন্য একটি সার্জ এরেষ্টার স্থাপন করতে হবে দালানের ছাদে দৈর্ঘ্য বরাবর ২৫ ফুট পর পর লাইটনিং রড স্থাপন করতে হবে। লাইটনিং রড এর ব্যাস সাধারণত ৫/৮" এবং উচ্চতা ১-২ ফুট পর্যন্ত হয়। দালানের প্রত্যেক কর্ণারে আর্থিং সিস্টেমের সংযোগ থাকা আবশ্যক। বড় দালানের ক্ষেত্রে (পরিধি ২৫০ ফুট এর বেশি) অতিরিক্ত গ্রাউন্ডিং সিস্টেম থাকলে ভাল হয়। মাটিতে ১০০ ফুট পর একটি গ্রাউন্ডিং সিস্টেম থাকা দরকার। প্রধান তার একটি আর্থিং থেকে শুরু করে প্রত্যেক লাইটনিং রড এর সাথে সংযোগ শেষে অন্য কর্ণারের আর্থিংয়ে গিয়ে শেষ হবে। বৈদ্যুতিক গ্রাউন্ড সিস্টেম ও লাইটনিং গ্রাউন্ড সিস্টেম পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকা প্রয়োজন। দালানের ভূ-গর্ভস্থ ধাতব পাইপ লাইন থাকলে গ্রাউন্ড সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। গ্রাউন্ড এর সাথে সংযোগ দেয়ার জন্য গ্রাউন্ড রড ব্যবহার করা হলে গ্রাউন্ড রডগুলো পুরোপুরি মাটির ভিতর ঢুকিয়ে উপযুক্ত ক্লাম্প দিয়ে তারের সংযোগ দিতে হবে।

যদি একটি দালান পূর্বেই বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা দ্বারা সজ্জিত থাকে তবে ইলেকট্রোড ভাল অবস্থায় আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। প্রায়ই দেখা যায় যে, তারগুলো সংযোগ মুখে ক্ষয়ে যায় এবং মাটির ভিতরে ইলেকট্রোড ক্ষয়ে যায়।

বজ্র নিরোধ ব্যবস্থার সবগুলো কমপোনেন্ট যথা-সংযোগ তার, লাইটনিং রড এবং আর্থিং একত্রিত করে সংযোগ দিতে হবে যাতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সিস্টেম তৈরী হয়। সংযোগ তারগুলো সাধারণত তামা (কপার), কপার কোটেড ষ্টিল বা গ্যালভানাইজড ষ্টিলের হয়ে থাকে। এগুলো ক্ষয় নিরোধক ও পর্যাপ্ত সাইজের হতে হবে যাতে বজ্রবিদ্যুত্ সহজে প্রবাহিত হতে পারে। পর্যাপ্ত আর্থিং রাখার সুবিধা এই যে, বজ্রবিদ্যুত্ বিভিন্ন পথে অনায়াসে মাটিতে গমন করতে পারে। মোদ্দাকথা এই যে, বজ্রপাত থেকে বাঁচতে হলে যোগ্যতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীর পরামর্শ ও তদারকিতে দালানের উপযুক্ত বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার দালান নির্মাণকালে পিডব্লি¬উডি'র ইলেকট্রিক্যাল মেকানিক্যাল উইং এ ব্যাপারে যথেষ্ট যত্ন নিয়ে থাকে। সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে পিডব্লি¬উডি'র আওতা বহির্ভূত দালান নির্মাণের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক।

লেখক :তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, যশোর গণপূর্ত সার্কেল ও চেয়ারম্যান, আইইবি, যশোর কেন্দ্র

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন