Powered By Blogger

বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭

হেমন্তকাল


 হারুন ইবনে শাহাদাত


আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ। ছোট্ট এই দেশের রূপবৈচিত্রের  শেষ নেই। ছয় ঋতুর পালা বদলে চলে নানান রূপের খেলা। প্রকৃতি সাজে নতুন নতুন রঙে। প্রকৃতির রঙের সাথে সাথে দেশের মানুষের মনেও লাগে রঙের ছোঁয়া। হেমন্তের রঙ হলো সোলানি। কারণ হেমন্তকালে মাঠে মাঠে থাকে সোনালি ধান।  তোমরা নিশ্চয়ই জানো, ‘ঋতু বলতে কি বোঝায়? হ্যাঁ। ঠিক বলেছো।ঋতু হলো,‘বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের এই পৃথিবীর কোন একটি দেশ বা অঞ্চলের জলবায়ুর ধরন। ইংরেজিতে যা Season বলা হয়। মহাকাশে সূর্যের অবস্থান অনুসারে পৃথিবীর অক্ষের অবস্থানের পরিবর্তনের কারণে কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানে ঋতু পরিবর্তন সংঘটিত হয়। আমাদের দেশে হেমন্তকাল  বাংলা বর্ষের চতুর্থ ঋতু। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে কার্তিক ও অগ্রায়হণ  এই দুই মাস হেমন্তকাল। ঈসায়ী ক্যালেন্ডার যা আমাদের দেশে ইংরেজি সন বলে পরিচিত সেই অনুসারে মধ্য অক্টোবর  থেকে মধ্য ডিসেম্বর সময়কাল হেমন্ত ঋতু। মূলত হেমন্তকাল হচ্ছে শরৎ ও শীতকালের মধ্যবর্তী একটি পরিবর্তনশীল পর্যায় তাই ইংরেজিতে একে Late Autumn বলা হয়।
এ সময় চাষীরা ধান কেটে ঘরে তোলে এবং ঘরে ঘরে  নবান্ন উৎসব শুরু হয়।
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য এর ভাষায়,
এই হেমন্তে কাটা হবে ধান
আবার শূন্য গোলায় ডাকবে ফসলেরই বান।

শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৭

বাংলাদেশে বিজেপি ও এমজেপি’র গঠন নিয়ে নানান প্রশ্ন

হারুন ইবনে শাহাদাত
 দেশের রাজনীতির পতিত জমিতে আগাছার বাম্পার ফলন ফলতে শুরু হয়েছে। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। তাদের যুক্তি কোন স্থান শূন্য থাকে না। আবাদ না করে কোনো জমিন ফেলে রাখলে তাতে আগাছা জন্মাবে- এটাই প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম। দেশের মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো কোনোটা অবরুদ্ধ, কোনটা সরকারের পেটের ভেতরে থেকে মন্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে অভিনব অভিনয়ের বিরোধী দলে আছে। সংসদের বাইরের রাজপথের বিরোধী দলের ঠিকানা এখন সরকারের নির্ধারণ করে দেয়া অফিস কিংবা চার দেয়ালঘেরা কোন চৌহদ্দি। এমন অবস্থায় ভুঁইফোড় দল গজাবে- এটাই স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিক বিষয়টির দিকে সময় মতো নজর না দিলে বিষবৃক্ষ রূপে দেখা দেয়া অস্বাভাবিক নয়।
সাংবাদিক সম্মেলন

গত সপ্তাহে ভারতের জনতা পার্টির আদলে দেশে দু
টি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হবে এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু গণতন্ত্রের দুঃসময়ে কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী যদি রাষ্ট্রীয় আশীর্বাদে দল গঠন করে তবে তা অশনিসংকেত বৈ কিছু নয়। এবার তেমন এক অশনিসংকেতেরই আশঙ্কা করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। গত ২০ সেপ্টেম্বর ভারতের হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এর আদলে আমাদের দেশেই আত্মপ্রকাশ করল বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি)। জাগো হিন্দু পরিষদ, শিবসেনা শক্তি মিশন, হিন্দু লীগ, হিন্দু ঐক্য জোট, ভারত সেবাশ্রম ও বাংলাদেশ হিজড়া সম্প্রদায়সহ আরও বেশ কয়েকটি সংগঠনের সম্মিলনে ভারতের বিজেপির আদলে বাংলাদেশেও বিজেপি নামক একটি রাজনৈতিক দল জনসম্মুখে এলো। ভারতের বিজেপির দলীয় প্রতীক লোটাস (পদ্মফুল) এর অনুকরণে বাংলাদেশের বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক হবে পদ্মফুল ও পদ্মফুলের নিচে দুটো হাত।
এই দলের আত্মপ্রকাশের মাত্র একদিন পর ২১ সেপ্টেম্বর দেশের সব ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সমন্বয়ে
মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বাঁচাও স্লোগানে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি) নামের আরেকটি নতুন  রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে। রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট এক কমিটির মাধ্যমে এ নতুন দলের ঘোষণা করেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা বিয়েন্দনাথ অধিকারী। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন নিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনের নির্বাচনে যাবে বিএমজেপি। সরকার গঠন করতে পারলে ৬৪টি আসন সংরক্ষিত রাখা হবে সংখ্যালঘুদের জন্য। পাশাপাশি তুলে ধরা হয় সংখ্যালঘুদের অধিকারসংবলিত ৭ দফা প্রস্তাব।