মো. আবদুস সালিম
মাটিতে দিন দিন লবণাক্ততা
বেড়েই চলেছে। লবণাক্ততার বেশি শিকার উপকূলীয় অঞ্চল। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দেশের
দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত এলাকা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তা ছড়িয়ে
পড়েছে পশ্চিমাঞ্চলের এলাকাগুলোতেও। কৃষি ব্যবস্থাপনা ও শস্য বিন্যাসে পড়ছে
লবণের বিরূপ প্রভাব। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট পরিচালিত জরিপে বলা
হয়েছে, আমাদের দেশের মোট আবাদযোগ্য ভূমির প্রায় ৩০ ভাগ জমি পড়েছে উপকূল এলাকায়। আরও বলা হয়েছে, উপকূলীয়
২ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন হেক্টর
জমির মধ্যে প্রায় ০.৮৪ মিলিয়ন হেক্টর
জমিই নানাভাবে লবণাক্ততায় প্রভাবিত।
গত কয়েক দশকে দক্ষিণাঞ্চলে লবণের মাত্রা
প্রায় ২৭ ভাগ বেড়েছে। আর গত এক
দশকে এর মাত্রা বেড়েছে প্রায় ৪ ভাগ।
বর্তমানে দেশে লবণাক্ত মাটি আছে ৯৩টি
উপজেলা এবং ১৮টি জেলায়। তার মধ্যে
অন্যতম স্থান সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ভোলা,
পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরগুনা, পিরোজপুর, নড়াইল
ও খুলনা। বিজ্ঞানীরা আশংকা করছেন, উপকূল থেকে লবণ যেভাবে পশ্চিমাঞ্চলের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে আগামী কয়েক দশকে বিপন্ন
হয়ে উঠতে পারে তিন কোটি মানুষের জীবন,
যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ছয় ভাগের এক
ভাগ। এতে করে দেখা দেবে চরম মানবিক ও জৈবিক বিপর্যয়।