Powered By Blogger

বুধবার, ২৪ জুন, ২০১৫

চট্টগ্রাম-দোহাজারী সেতু ভেঙে নদীতে তেল: পরিবেশ বিপর্যয়



চট্টগ্রাম-দোহাজারী সেতু ভেঙে দুর্ঘটনাকবলিত রেল ইঞ্জিন ও তেলের বগি থেকে পড়ে যাওয়া ফার্নেস তেল কয়েক কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই তেলে পুরো এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়ের। স্থানীয় লোকজন ও পরিবেশবিদরা বলছেন, ছড়িয়ে পড়া তেলে কৃষকের ফসল ও মাছ চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে প্রশাসন বলছে, পরিবেশ বিপর্যয়ের মতো পরিস্থিতি এখনো ঘটেনি।

গত শুক্রবার চট্টগ্রামের বোয়ালখালী এলাকায় ফার্নেস তেলবাহী দুটি ওয়াগন সেতু ধসে পড়ে যাওয়া রেল ইঞ্জিন এখনো উদ্ধার করা যায়নি। সেতু মেরামত না হওয়ায় বন্ধ রয়েছে দোহাজারীর সঙ্গে ট্রেন চলাচল। দুর্ঘটনার ফলে দুটি ওয়াগনের ৫০ টন জ্বালানি তেল খাল-বিল হয়ে নদীতে ছড়িয়ে পড়ায় পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব তেল সরানোর কাজ দেরিতে শুরু হওয়ায় তা ছড়িয়ে পড়েছে পাশের কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে। ছড়িয়ে পড়া তেলের দূষণে ফসলি জমি এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যও হুমকির মুখে। এ ছাড়া তেলমিশ্রিত জোয়ারের পানি এলাকার পুকুরগুলোতে প্রবেশ করায় তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
পরিবেশবিদ ও চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যাপক ইদ্রিস আলী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ছড়িয়ে পড়া তেলে এরই মধ্যে পরিবেশের ক্ষতি হয়েছেআরো ক্ষতি হতে পারে।
তেলের কারণে স্থানীয় কৃষকদের চাষ করা পাটশাক, ঢেঁড়স, বেগুন সব নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। এ ছাড়া মারা গেছে পুকুর আর খালের মাছ।
তবে প্রশাসন বলছে, পরিবেশ বিপর্যয়ের মতো পরিস্থিতি হয়নি। তেলগুলো হালকাভাবে পানিতে ভাসছে। টুকটাক একটু ক্ষতি হলেও বিপর্যয় হবে না।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘তেল আর নতুন করে কালেক্ট করার মতো অবস্থায় নেই। গাছপালায় যেগুলো পাতায় এবং গাছে লেগে ছিল, ওগুলো লোকজন তুলে ফেলে দিয়েছে। পরিবেশের যতটুকু ক্ষতিকর, এর চেয়ে বেশি ক্ষতি হবে বলে আমরা মনে করি না। এখন আমাদের জন্য বেশি জরুরি হলো যে এই ট্রেনলাইনটা চালু করা এবং রেলওয়ের যে ইঞ্জিন এবং যে লরি আছে, সেটা ওঠানো আর কী।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান জানান, চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনে দুর্ঘটনাকবলিত সেতু মেরামত না হলে রেল ইঞ্জিন ও তেলের বগি উদ্ধার করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ চলতেসে, কিন্তু এই যে খারাপ আবহাওয়া-বৃষ্টির জন্য কাজ একটু বিলম্বিত হচ্ছে। আগামীকালের মধ্যে আমরা রেললাইন পুনঃস্থাপনে সক্ষম হবো। এর পর এই ইঞ্জিন ও ওয়াগন উদ্ধার অভিযান শুরু করব। রেললাইন স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত ওয়াগন ওঠানোর জন্য যে রিলিফ ট্রেনলাইনের ওপর দিয়ে আসতে হবে। লাইনটা কালকের মধ্যে ঠিক হয়ে গেলে পরশু দিন আমরা রিলিফ ট্রেনটা নিয়ে আসব।

শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০১৫

সংবাদ বা খবরের উৎস এবং রিপোর্টারের সোর্স





প্রশিক্ষক: মোঃ হারুন অর রশীদ
তারিখ: ১৯ জুন ২০১৫

উৎস বা সোর্স জানার আগে সংবাদ বা নিউজ কি তা আগে জানতে হবে।
সংবাদ বা খবর কি ?
News  অর্থ Something is New. মানে নতুন কিছু আভিধানিক অর্থে সংবাদ হলো কোন সাম্প্রতিক ঘটনা বা প্রস্তাব সম্পর্কিত  বিবরণ।
হ্যারিসন এবং জনসন এর দি কমপ্লিট রিপোর্টার (The complete Reporter )বইয়ে সংবাদের সংজ্ঞা দিয়েছেন এভাবে News is an account of event, or a fact or opinion  which interest people. অর্থাৎ সংবাদ হচ্ছে  একটি ঘটনা, বিষয় বা মতামতের বিবরণী যার প্রতি জনগণের আগ্রহ আছে ( আগ্রহ নিয়ে পড়ে )
তারা আরো লিখেছেন, Anything that enough people want to read is news, provided is not violate the canon of good taste and the laws of libel. অর্থাৎ সংবা হচ্ছে এমন কিছু যা জনগণ পড়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। তবে সেই বিষয়গুলো অবশ্যই শালীন হবে এবং মানহানি আইন লঙ্ঘন করবে না
New York Sun এর সম্পাদক জন বি ব্যারেট একজন কাব ( নবিশ)  রিপোর্টারকে কি বলেছিলেন  কুকুরের কামড় সংক্রান্ত উদাহরণটি নিশ্চয় মনে আছে। ( ক্লাসে বলা হবে।)
আর্থার ক্রিসটেন সেলে মতে, '‌যার মধ্যে অভিনত্ব আছে সেটাই খবর।'
থমসন ফাউন্ডেশনের মতে 'সংবাদ কখনো সহজে উদঘাটিত হয় না সংবাদ হচ্ছে এমন কিছু যা মানুষ লুকিয়ে রাখতে চায়, বাকী সবটা বিজ্ঞাপন।'
সংবাদের প্রকার
সংবাদের প্রকার একটি ব্যাপক অর্থবোধক বিষয় বিষয়, স্থান, কাল,গঠন বিভিন্নভাবে খবরের প্রকারভেদ করা যায় ।বিষয় ভিত্তিক যেমন: উন্নয়ন, দুর্নীতি, অপরাধ, অর্থনীতি, রাজনীতি, জনসভা, সেমিনার, সাংবাদিক সম্মেলন, খেলা-ধূলা, বিনোদন প্রভৃতি। স্থান: শহরের বর, গ্রাম বাংলার খবর, বিদেশের খবর, সময় ভেদে: ব্রেকিং নিউজ বা তাৎক্ষণিক খবর, চলমান ঘটনার বর, প্রেসবিজ্ঞপ্তি, খবরের ফলো আপ বা আগে প্রকাশিত খবরের পরবর্তী খবর, গঠন অনুসারে সংক্ষিপ্ত খবর, ইন ডেপথ রিপোর্ট বা অনুসন্ধানমূলক বিস্তারিত খবর, মন্তব্য প্রতিবেদন, মতামতমূলক খবর, সাক্ষাৎকার, ফিচার প্রভৃতি



সংবাদের উৎস :
একজন সাধারণ মানুষের কাছে যদি জানতে জান সংবাদ বা খবরের উৎস কি? তারা নিশ্চয় উত্তর দিবেন: পত্রিকা, টিভি, অন লাইন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম হলো খবরের উৎস। অগ্রসর জনগণ হয় তো বলবেন, সাংবাদিক হলো সংবাদের উৎস। উদাহরণ: মাছ কোথায় পাওয়া যায়? শহরের বাচ্চার উত্তর... ( ক্লাসে বিস্তারত বলা হবে)।
একজন দক্ষ জেলে যেমন জানেন, ইলিশ মাছ আর রুই মাছ কোথায় পাওয়া যায়, একজন সাংবাদিকেও জানতে হবে কোন খবরের উৎস কি?
আমাদের চার-পাশেই ছড়িয়ে আছে খবরের উৎস। যেমন: ১. এই সমাজ ২. সমাজের মানুষ ৩. তাদের গড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান
বিট ও উৎস নির্ধারণ
একজন সাংবাদিক বা রিপোর্টারের পক্ষে সকল দিকে নজর রাখা সম্ভব নয়। তাই কে কোন দিকে নজর রাখবেন তা ঠিক করে দেয়া হয়। তাদের ক্ষেত্র বা বিট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। যেমন: অর্থনীতি বিট। অর্থনীতির সাথে সম্পর্কিত বিট অর্থ মন্ত্রণালয়, ব্যাংক, বীমা, শেয়ারবাজার, পণ্যবাজার, আমদানি-রফতানি প্রভৃতি। ভালমানের মিডিয়ায় উল্লেখিত প্রতিটি বিটের জন্য আলাদা আলাদা প্রতিবেদক থাকেন।
অনুরূপভাবে প্রতিটি মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালেয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগকে বিট বিবেচনা করে নির্ধারিত প্রতিবেদক থাকেন।