আমাদের পরিবেশ ডেস্ক: ভূমিকম্প মানেই আতঙ্ক। বিশ্বের
প্রায় সব দেশেই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। কখনও কি ভেবে দেখেছেন ভূমিকম্প কেন
হয়? কেন বিশেষ বিশেষ কিছু স্থানে ভূমিকম্প বেশি হয় আবার কিছু স্থানে মোটামোটি ভূমিকম্প হয় না বললেই চলে? এ
প্রশ্নগুলো বহু শত বছর ধরে মানুষকে ভাবালেও এর উত্তর পেতে
অপেক্ষা করতে হয়েছে বিংশ শতাব্দী
পর্যন্ত।
ভূমিকম্প কী
পৃথিবীতে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে চলেছে৷ কিন্তু এসবের মধ্যে ভুমিকম্পই হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ। কারণ এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে অনেক বেশি। মাটির নীচ থেকে হঠাৎ করেই যেন কেঁপে ওঠে গোটা পৃথিবী। লন্ডভন্ড করে দেয় পুরো এলাকা।
ভুমিকম্প কেন হয়ে থাকে? বিশেষজ্ঞদের মতে গোটা ভূপৃষ্ঠই কয়েকটি স্তরে বিভক্ত। আবার প্রতিটি স্তর একাধিক প্লেটে বিভক্ত। এসব বিশাল আকারের টেকটোনিক প্লেটগুলো যখন একের সঙ্গে অপরে ধাক্কা খায় তখন কেঁপে ওঠে মাটির নীচের তলদেশ। আর আমরা ভূপৃষ্ঠের ওপর ভূকম্পন অনুভুত করি।
ভূমিকম্পের কারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভূপৃষ্ঠের উপরের স্তরে অনেকগুলো প্লেট আছে এগুলো আবার অনেকগুলো সাবপ্লেটে বিভক্ত। এগুলো সবসময় নড়াচড়া করছে। একটার সঙ্গে আরেকটার ঘর্ষণে এই ভুকম্পনের সৃষ্টি হয়। আবার আগ্নেয়গিরির কারণে ভূ অভ্যন্তরের ভেতর থেকেও ভুকম্পনের সৃষ্টি হয়ে থাকে। আবার কোন কোন এলাকায় ভূপৃষ্ঠের গভীর থেকে অতিরিক্ত পানি কিংবা তেল ওঠানোর ফলে ভূপৃষ্ঠের অবস্থানের তারতম্য ঘটে।’
রিকটার স্কেল কী
বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতিদিনই ভূপৃষ্ঠের ভেতরে কোথাও না কোথাও ভূমিকম্পের সৃষ্টি হচ্ছে৷ তবে সবগুলো অত জোরালো নয়৷ ভূমিকম্পের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে জমে থাকা শক্তি নির্গত হয়৷ এই শক্তিকে মাপা হয় রিখটার স্কেলের মাধ্যমে৷ সাধারণত ভূমিকম্পকে ১ থেকে ১২ মাত্রা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়৷ ৩ থেকে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প বোঝা গেলেও ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয় না৷ তবে ৫ কিংবা ৬ পর্যন্ত পৌঁছে গেলেই সেগুলোকে উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে ধরা হয়৷ রিখটার স্কেলের এক মাত্রা পার্থক্যের অর্থ হচ্ছে আগেরটির চেয়ে পরেরটি ভূত্বকের ভেতর ৩২ গুন বেশি শক্তিশালী৷ তবে ভূপৃষ্ঠে এই তীব্রতার পরিমাণ হয় ১০গুন বেশি৷
বাংলাদেশে ভূমিকম্প
দুর্ভাগ্যবশত: আমাদের বাংলাদেশ ভারতীয়, ইউরেশিয় এবং মায়ানমার টেকটনিক প্লেটের মাঝে আবদ্ধ। ফলে এই প্লেটগুলোর নাড়াচাড়ার ফলে আমাদের দেশে মাঝেমাঝেই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাছাড়া ভারতীয় এবং ইউরেশিয় প্লেট দুটো হিমালয়ের পাদদেশে আটকা পড়ে রয়েছে এবং ১৯৩৪ সনের পর তেমন কোন বড় ধরনের নাড়াচাড়া প্রদর্শন করেনি। এ কারণে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে এই প্লেট দুটো হয়তো নিকট ভবিষ্যতে নড়ে উঠবে যা বড় ধরনের ভূমিকম্পের কারণ হবে।
ভূমিকম্প কী
পৃথিবীতে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে চলেছে৷ কিন্তু এসবের মধ্যে ভুমিকম্পই হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ। কারণ এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে অনেক বেশি। মাটির নীচ থেকে হঠাৎ করেই যেন কেঁপে ওঠে গোটা পৃথিবী। লন্ডভন্ড করে দেয় পুরো এলাকা।
ভুমিকম্প কেন হয়ে থাকে? বিশেষজ্ঞদের মতে গোটা ভূপৃষ্ঠই কয়েকটি স্তরে বিভক্ত। আবার প্রতিটি স্তর একাধিক প্লেটে বিভক্ত। এসব বিশাল আকারের টেকটোনিক প্লেটগুলো যখন একের সঙ্গে অপরে ধাক্কা খায় তখন কেঁপে ওঠে মাটির নীচের তলদেশ। আর আমরা ভূপৃষ্ঠের ওপর ভূকম্পন অনুভুত করি।
ভূমিকম্পের কারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভূপৃষ্ঠের উপরের স্তরে অনেকগুলো প্লেট আছে এগুলো আবার অনেকগুলো সাবপ্লেটে বিভক্ত। এগুলো সবসময় নড়াচড়া করছে। একটার সঙ্গে আরেকটার ঘর্ষণে এই ভুকম্পনের সৃষ্টি হয়। আবার আগ্নেয়গিরির কারণে ভূ অভ্যন্তরের ভেতর থেকেও ভুকম্পনের সৃষ্টি হয়ে থাকে। আবার কোন কোন এলাকায় ভূপৃষ্ঠের গভীর থেকে অতিরিক্ত পানি কিংবা তেল ওঠানোর ফলে ভূপৃষ্ঠের অবস্থানের তারতম্য ঘটে।’
রিকটার স্কেল কী
বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতিদিনই ভূপৃষ্ঠের ভেতরে কোথাও না কোথাও ভূমিকম্পের সৃষ্টি হচ্ছে৷ তবে সবগুলো অত জোরালো নয়৷ ভূমিকম্পের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে জমে থাকা শক্তি নির্গত হয়৷ এই শক্তিকে মাপা হয় রিখটার স্কেলের মাধ্যমে৷ সাধারণত ভূমিকম্পকে ১ থেকে ১২ মাত্রা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়৷ ৩ থেকে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প বোঝা গেলেও ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয় না৷ তবে ৫ কিংবা ৬ পর্যন্ত পৌঁছে গেলেই সেগুলোকে উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে ধরা হয়৷ রিখটার স্কেলের এক মাত্রা পার্থক্যের অর্থ হচ্ছে আগেরটির চেয়ে পরেরটি ভূত্বকের ভেতর ৩২ গুন বেশি শক্তিশালী৷ তবে ভূপৃষ্ঠে এই তীব্রতার পরিমাণ হয় ১০গুন বেশি৷
বাংলাদেশে ভূমিকম্প
দুর্ভাগ্যবশত: আমাদের বাংলাদেশ ভারতীয়, ইউরেশিয় এবং মায়ানমার টেকটনিক প্লেটের মাঝে আবদ্ধ। ফলে এই প্লেটগুলোর নাড়াচাড়ার ফলে আমাদের দেশে মাঝেমাঝেই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাছাড়া ভারতীয় এবং ইউরেশিয় প্লেট দুটো হিমালয়ের পাদদেশে আটকা পড়ে রয়েছে এবং ১৯৩৪ সনের পর তেমন কোন বড় ধরনের নাড়াচাড়া প্রদর্শন করেনি। এ কারণে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে এই প্লেট দুটো হয়তো নিকট ভবিষ্যতে নড়ে উঠবে যা বড় ধরনের ভূমিকম্পের কারণ হবে।