Powered By Blogger

মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫

ভূমিকম্প



 
নেপালে ভূমিকম্পের সময় হিমালয়ের এভারেস্ট শৃঙ্গে উদ্ধারকারী দল ছবি এএফপির সৌজন্যে

আমাদের পরিবেশ ডেস্ক: ভূমিকম্প মানেই আতঙ্ক। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। কখনও কি ভেবে দেখেছেন ভূমিকম্প কেন হয়? কেন বিশেষ বিশেষ কিছু স্থানে ভূমিকম্প বেশি হয় আবার কিছু স্থানে মোটামোটি ভূমিকম্প হয় না বললেই চলে? এ প্রশ্নগুলো বহু শত বছর ধরে মানুষকে ভাবালেও এর উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত।

ভূমিকম্প কী
পৃথিবীতে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে চলেছে৷ কিন্তু এসবের মধ্যে ভুমিকম্পই হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ। কারণ এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে অনেক বেশি। মাটির নীচ থেকে হঠাৎ করেই যেন কেঁপে ওঠে গোটা পৃথিবী। লন্ডভন্ড করে দেয় পুরো এলাকা।

ভুমিকম্প কেন হয়ে থাকে? বিশেষজ্ঞদের মতে গোটা ভূপৃষ্ঠই কয়েকটি স্তরে বিভক্ত। আবার প্রতিটি স্তর একাধিক প্লেটে বিভক্ত। এসব বিশাল আকারের টেকটোনিক প্লেটগুলো যখন একের সঙ্গে অপরে ধাক্কা খায় তখন কেঁপে ওঠে মাটির নীচের তলদেশ। আর আমরা ভূপৃষ্ঠের ওপর ভূকম্পন অনুভুত করি।

ভূমিকম্পের কারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভূপৃষ্ঠের উপরের স্তরে অনেকগুলো প্লেট আছে এগুলো আবার অনেকগুলো সাবপ্লেটে বিভক্ত। এগুলো সবসময় নড়াচড়া করছে। একটার সঙ্গে আরেকটার ঘর্ষণে এই ভুকম্পনের সৃষ্টি হয়। আবার আগ্নেয়গিরির কারণে ভূ অভ্যন্তরের ভেতর থেকেও ভুকম্পনের সৃষ্টি হয়ে থাকে। আবার কোন কোন এলাকায় ভূপৃষ্ঠের গভীর থেকে অতিরিক্ত পানি কিংবা তেল ওঠানোর ফলে ভূপৃষ্ঠের অবস্থানের তারতম্য ঘটে।

রিকটার স্কেল কী
বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতিদিনই ভূপৃষ্ঠের ভেতরে কোথাও না কোথাও ভূমিকম্পের সৃষ্টি হচ্ছে৷ তবে সবগুলো অত জোরালো নয়৷ ভূমিকম্পের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে জমে থাকা শক্তি নির্গত হয়৷ এই শক্তিকে মাপা হয় রিখটার স্কেলের মাধ্যমে৷ সাধারণত ভূমিকম্পকে ১ থেকে ১২ মাত্রা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়৷ ৩ থেকে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প বোঝা গেলেও ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয় না৷ তবে ৫ কিংবা ৬ পর্যন্ত পৌঁছে গেলেই সেগুলোকে উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে ধরা হয়৷ রিখটার স্কেলের এক মাত্রা পার্থক্যের অর্থ হচ্ছে আগেরটির চেয়ে পরেরটি ভূত্বকের ভেতর ৩২ গুন বেশি শক্তিশালী৷ তবে ভূপৃষ্ঠে এই তীব্রতার পরিমাণ হয় ১০গুন বেশি৷

বাংলাদেশে ভূমিকম্প
দুর্ভাগ্যবশত: আমাদের বাংলাদেশ ভারতীয়, ইউরেশিয় এবং মায়ানমার টেকটনিক প্লেটের মাঝে আবদ্ধ। ফলে এই প্লেটগুলোর নাড়াচাড়ার ফলে আমাদের দেশে মাঝেমাঝেই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাছাড়া ভারতীয় এবং ইউরেশিয় প্লেট দুটো হিমালয়ের পাদদেশে আটকা পড়ে রয়েছে এবং ১৯৩৪ সনের পর তেমন কোন বড় ধরনের নাড়াচাড়া প্রদর্শন করেনি। এ কারণে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে এই প্লেট দুটো হয়তো নিকট ভবিষ্যতে নড়ে উঠবে যা বড় ধরনের ভূমিকম্পের কারণ হবে।

শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৫

দূষণের কবলে নদী খাল বিল ও জলাশায়


তোহুর আহমদ





নাম পরিবেশ অধিদফতর। বিশাল অফিস ভবন। যেখানে সিসি ক্যামেরায় ঘেরা কঠোর নিরাপত্তা। বড় কর্তাদের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুপরিসর কক্ষ ছাড়াও রয়েছে বিলাসবহুল পাজেরো জিপ। অফিসময় আভিজাত্যের ছাপ। প্রকল্পের ছড়াছড়ি, তাই গাড়িরও অভাব নেই। কিন্তু রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পরিবেশ অধিদফতরে এমন হাইফাই চেহারার সঙ্গে বাস্তবে দেশের পরিবেশগত চেহারার মধ্যে কোনো মিল নেই। যোজন যোজন নয়, বলা যায় আসমান-জমিন তফাৎ। এ উদাহরণের জন্য বেশিদূর যেতে হবে না। পরিবেশ অধিদফতর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে শুধু বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের দিকে তাকালেই অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যাবে। বলা যায়, পরিবেশ অধিদফতরের নাকের ডগায় শত শত শিল্প-কলকারখানা থেকে প্রতিনিয়ত নির্গত হওয়া শিল্পবর্জ্য ও নানা রঙের দূষিত পানি আছড়ে পড়ছে এখানে। ফলে এক সময়ের স্বচ্ছ পানি প্রবাহের বুড়িগঙ্গা এখন আর চেনার উপায় নেই। বুড়িগঙ্গার বুকজুড়ে এখন শুধু কালো আলকাতরার মতো ছপছপ ক্ষত চিহ্ন। কোথাও তা দুর্গন্ধময় রঙিন পানিতেও রূপ নিয়েছে।
এমতাবস্থায় পরিবেশ সচেতন পর্যবেক্ষকদের প্রশ্ন- বুড়িগঙ্গার চেহারা যদি এ রকম হয় তাহলে সুবিশাল পরিপাটি পরিবেশ অধিদফতর থাকার কোনো প্রয়োজন আছে কি?

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ

হাসনাইন হাফিজ
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। দিগন্ত বিস্তৃত বনানী। সবুজের সমারোহ। ফল, ফুল ও শস্যসমৃদ্ধ মাঠ। এ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কোনো পর্যটককে বিমোহিত করে। বিশ্ব ঐতিহ্যে বাংলাদেশ 'সৌন্দর্যের রানী' অভিধায় অভিহিত। এসবই আল্লাহর অফুরন্ত নেয়ামত বা দান। তবে মাঝে-মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাধ্যমে এর ব্যত্যয় ঘটে।


ইদানীং আমাদের জলবায়ু বেশ সঙ্গীন ও ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। অত্যধিক বৃষ্টি, ঝড়, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, তুফান, বন্যা, সাইক্লোন, সিডর, আইলা, নারগিস, মহাসেন, মরুকরণ ও খরা-শুষ্কতায় দেশ বিপর্যস্ত প্রায়। রয়েছে সুনামির আশঙ্কাও। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলেন, এটি ক্লাইমেট চেঞ্জ বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাব আমাদের দেশে পড়তে শুরু করেছে। কেননা বাংলাদেশের ভৌগোলিক ভূখ-ের তুলনায় বনভূমি নিতান্তই অপ্রতুল। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ কর্তৃক আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে অবৈধ নদী শাসনও অন্যতম কারণ।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ। এ উচ্চতা বৃদ্ধির সমীক্ষা ও মূল্যায়নে দেখা গেছে, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বিপন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ। অবশ্য জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার লক্ষ্যে গঠিত ক্লাইমেট চেঞ্জ নেগোসিয়েশন টিম এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক পরিম-লে নেগোসিয়েশনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৫

তিস্তার পানি না পাওয়ায় বছরে বাংলাদেশের ৩০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি




 
গত ১৮ এপ্রিল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাউথ এশিয়া ইয়ুথ ফর পীস এন্ড প্রসপারিটি সোসাইটির উদ্যোগে সেমিনারের আয়োজন করা হয়
আমাদের পরিবেশ ডেস্ক: তিস্তার পানি না পাওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি বছর অন্তত ৩০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই ক্ষতি দিন দিন বাড়ছে বলেও মনে করেন তারা। বিশেষজ্ঞরা এও মনে করেন তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ার পেছনে সরকারের যথেষ্ট ব্যর্থতা রয়েছে। কারণ শুধু দ্বি-পক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান হবে না। এই অধিকার ফিরে পেতে বাংলাদেশকে জাতিসংঘে যাওয়া প্রয়োজন।
গত ১৮ এপ্রিল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত তিস্তা নদী বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এ মত তুলে ধরেন। সাউথ এশিয়া ইয়ুথ ফর পিস অ্যান্ড প্রসপারিটি সোসাইটি এ গোলটেবিলের আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার।

শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৫

‌‍অননুমোদিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ চলতে থাকলে ভূমিকম্প ছাড়াই বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটবে-পবা



 
  
 পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের সাংবাদিক সম্মেলন

Avgv‡`i cwi‡ek †W¯‹: এক শ্রেণির মানুষের সীমাহীন লোভের বলি হয়ে ঝিলপাড়ের ১২ জন মারা গেছেন। রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার সেই ট্র্যাজেডির পেছনে দখলদারদের লোভ ও স্বেচ্ছাচারিতার সঙ্গে যোগ হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হীনতা ও ব্যর্থতা। এ ধরনের অননুমোদিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ চলতে থাকলে ভূমিকম্প ছাড়াই বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটবে।
18 GwcÖj শনিবার পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত মালিবাগ চৌধুরীপাড়া ট্র্যাজেডির দায় এবং ভবিষ্যৎ করণীq শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে আলোচকেরা এ কথা বলেছেন। সকালে পবার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত বুধবার মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার ঝিলের মধ্যে অননুমোদিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দেবে ১২ জন মারা যান। ভবন নির্মাণের সামগ্রিক পরিকল্পনার আওতায় এই ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঝিলের জমি দখল করে অনুমোদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাকের ডগায় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিন দিন মৃত্যুফাঁদটি তৈরি করা হয়েছে। এর আগেও ভবন ধসে পড়া বা হেলে পড়া ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সেসব ঘটনায় মামলা হলেও শাস্তির কোনো নজির নেই কোথাও। কাজেই বলতে হবে, দায়িত্ব হীনতা ও বিচারহীনতার পরিণামই মালিবাগসহ একের পর এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটে চলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, ঝিলপাড়ে প্রতি ঘরে পাঁচ থেকে সাতজনের বসবাস। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কতিপয় ব্যক্তি ঝুঁকিপূর্ণ এসব বাড়ি তুলে ভাড়া দিয়েছেন। দুই বছর আগে থেকে এখানে টিনের বাড়ি উঠছে। এখানে সরকারি খাসজমির পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানার জমিও আছে। কোনো কোনো মালিক নিজের জমির পাশাপাশি তিন-চার গুণ জমি দখল করেছেন বলেও অভিযোগ আছে।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের (নাসফ) সভাপতি হাফিজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সোবহান, নাসফের সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব আলী, মডার্ন ক্লাবের সভাপতি আবুল হাসনাত প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য মোট ১০টি দাবি জানানো হয়েছে।

আমাদের পরিবেশ

 
 
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
একদিকে প্রতিনিয়ত জনসংখ্যার ভয়াবহ বৃদ্ধি, অন্যদিকে ঘরবাড়ি বৃদ্ধি। হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। বাড়ছে নানা ধরনের দূষণ। আর সবকিছুর মাঝখান থেকে সংকটকে পুঁজি করে কেবল ব্যবসা করে যাচ্ছে কিছু মানুষ। অথচ পরিবেশ ও এর প্রয়োজনীয়তার বাস্তবতা মাথায় রেখেও সেটা করা যায়। বিল্ডিং আর উন্নয়ন তো সমার্থক নয়। আগামী তিন বছর পর ঢাকায় পানি সংকট দেখা দেবে তীব্রভাবে। ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ এরই মধ্যে কমতে শুরু করেছে। ঢাকার আশপাশের যেসব নদী আছে তার পানি বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করার উপায় নেই। আমাদের অপরিকল্পিত অতীত আর স্বেচ্ছাচারী বর্তমানকে উপেক্ষা করে অনেক আশাবাদই হয়তো ব্যক্ত করা যাবে। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে বলতে গেলে, আমরা এখনও আমাদের অস্তিত্ব সংকটে পড়ে আছি। এ সংকট নিরসনের নির্ভরযোগ্য বা সুপরিকল্পিত কোনো জরুরি পদক্ষেপও এ পর্যন্ত আমাদের নজরে আসেনি।
 

চাই পরিবেশবান্ধন ইটভাটা

 
 
আামদের পরিবেশ ডেস্ক:  MZ 2014 mv‡ji  অক্টোবরের মধ্যেই সব ইটভাটা যাতে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি ব্যবহার করে,সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করেwQj পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। 2014 mv‡ji 31 AvM÷ রবিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির পঞ্চম বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটি সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ সংসদের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই সুপারিশের কথা জানিয়ে e‡jwQ‡jb, এই সময়ের মধ্যে সব ইটভাটা যেন পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে ইট প্রস্তুত করে, সেজন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিবের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেয়ারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যেসব ইটভাটা এটি অনুসরণ করবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশও করেছে কমিটি।
হাছান মাহমুদ জানান, বৈঠকে ইট প্রস্তুত ও ইটভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩দ্রুত কার্যকরের লক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেয়ার পাশাপাশি মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও যেন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়, সেই অনুরোধও করেছে সংসদীয় কমিটি।
কমিটি সভাপতি বলেন, আইন অনুযায়ী ইট পোড়ানো না হলে সরকার নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। বর্তমানে ৪০ শতাংশ ইটভাটা পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি ব্যবহার করছে। বাকি ৬০ শতাংশ ইটভাটাকে পরিবেশবান্ধব করতেই এ উদ্যোগ।
এই সিদ্ধান্তের পর বছর পার হলেও ঠাকুরগাঁও জেলায় আবাদি জমিতে ইটভাটা স্থাপনের কুফল ভোগ করতে শুরু করেছে কৃষকরা। ইটভাটার গরম বাতাসে ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে কয়েকশ বিঘা জমির ধান। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শতাধিক দরিদ্র কৃষক ও ভেঙ্গেছে স্বপ্ন।

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়া মুই পনে ২ বিঘা জমিত ধান লাগাইছিনু। কিন্তু ইটভাটার গরম বাতাসে হামার ধানগুলা নষ্ট হয়ে গেল। অ্যালা মুই লোন ক্যাংকরি শোধ করিম, আর সারাবছর খাইম কী?’কৃষক বজলুর রহমান এভাবেই তার স্বপ্ন ভাঙ্গার কথা বলছিলেন।