Powered By Blogger

রবিবার, ২৪ মে, ২০১৫

ঢাকা হারাচ্ছে মানুষ বসবাসের উপযোগী পরিবেশ




আমাদের পরিবেশ ডেস্ক: অপরকল্পিত নরয়ানের ফলে রাজধানী ঢাকা হারাচ্ছে মানুষ বসবাসের উপযোগী পরিবেশ। ঢাকায় ক্রমবর্ধমান নগরমুখীতা এবং দ্রুত নগরায়নের সাথে তাল মিলিয়ে পরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠছে না। ফলে নাগরিক সুবিধার অসম বণ্টন এবং চরম বৈষম্যমূলক নীতি প্রণয়নসহ অবকাঠামো কেন্দ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জীবনযাত্রা এবং পরিবেশ মারাত্মকভাবে উপেক্ষিত থাকছে। সব শ্রেনী-পেশা ও বয়সের মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে, মানুষের জন্য বাসযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব নগর তাই ঢাকার অন্যতম প্রধান সমস্যা। অবস্থা এতই খারাপ যে, এশিয়ার পঞ্চম নিকৃষ্টতম শহর এখন ঢাকা।


অপরিকল্পিত নগরায়নে ঢাকা হারাচ্ছে মানুষ বসবাসের উপযোগী পরিবেশ


 আর জীবন-মানের বিবেচনায় বিশ্বের ২৩০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ২১১তম।  যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জরিপ প্রতিষ্ঠান মারসার প্রকাশিত কোয়ালিটি অব লিভিং র‌্যাংকিং ২০১৫শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

শনিবার, ২৩ মে, ২০১৫

তিস্তা চুক্তি সংশোধনে না






গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিলি্ল

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরের আগে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমপরিমাণ পানিপ্রবাহ নিয়ে ২০১১ সালে দু'দেশের মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টনে যে সমঝোতা হয়েছিল, বাংলাদেশ সরকার সে অনুযায়ীই চুক্তিটি সই করতে চায়। তবে এ চুক্তি সংশোধনের দাবি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু ভারতের এই চুক্তি সংশোধনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ।প্রধানমন্ত্রী মোদির ঢাকা সফরের আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দিলি্লতে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে আয়োজিত কূটনৈতিক রিপোর্টারদের বৈঠক হয়। সেখানে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোজাম্মেল আলী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে যে চুক্তির রূপরেখা আগে তৈরি হয়েছে, সেটাই চূড়ান্ত। এর কোনো সংশোধন বাংলাদেশ চায় না। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে রূপরেখা বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছেন তার কোনো পরিবর্তন হবে না।'
তবে দিলি্লতে কেন্দ্রীয় সরকার এই চুক্তি পরিবর্তনের কোনো প্রস্তাব সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ওই চুক্তিতে শুষ্ক মৌসুমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমপরিমাণ পানিপ্রবাহ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে চুক্তি সই করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চুক্তির রূপরেখা মানেননি। এখনও মানছেন না। তিস্তায় ২০ শতাংশ পানিপ্রবাহ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট পানির ৫০-৫০ হিস্যা মানতে রাজি নন মমতা।
তবে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি যেভাবে রাষ্ট্রনেতাসুলভ আচরণ দেখিয়ে সীমান্ত বিলের সমাধান করেছেন, একইভাবে তিস্তা পানি চুক্তিরও সমাধান করবেন। হাইকমিশনার মোজাম্মেল আলী বলেন, 'আমরা এখনও আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী মোদি ঢাকা সফরে গিয়ে এ বিষয়ে ইতিবাচক কথা বলবেন।'তিনি আরও বলেন, 'এখনও প্রধানমন্ত্রী মোদির ঢাকা সফরের দিন স্থির হয়নি। সফরের ১০ দিন আগে তা ঘোষণা হবে। এ সফর হবে দেড় দিনের। বাংলাদেশের হাইকমিশনারের ধারণা, প্রধানমন্ত্রী মোদি ৫ থেকে ৭ জুন ঢাকা সফর করবেন। কিন্তু গতকাল দিলি্লর হিন্দু পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী এ সফর পিছিয়ে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

শুক্রবার, ২২ মে, ২০১৫

চাই পরিবেশ বান্ধব শিল্পায়ন




আমাদের পরিবেশ ডেস্ক: শিল্পায়ন আধুনিক সভ্যতার এক অনবদ্য উপাদান মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ, নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন শিল্পায়নকে করছে আরও বেগবান নতুন কলকারখানা স্থাপনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়ন উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চললেও চারদিকে পড়ছে এর ক্ষতিকর প্রভাব অতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে যানবাহন কলকারখানার কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে বায়ু, অপরিশোধিত বর্জ্যে বিষাক্ত হচ্ছে নদী জলাশয় সুপেয় পানির আধারগুলো অযোগ্য হয়ে উঠছে দিন দিন সেই সঙ্গে ধ্বংস হচ্ছে জলজ জীববৈচিত্র্য বিপন্ন হচ্ছে দেশী প্রজাতির বিভিন্ন মাছ অন্যান্য প্রাণী উদ্ভিদ এছাড়া রাসায়নিক বর্জ্য মানুষের শরীরে ঢুকে সৃষ্টি করছে ক্যান্সার,

বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০১৫

হারিয়ে যাচ্ছে নদী, খাল বিল




 
নদী ভরাট করে চলছে প্লট নির্মান

আামদের পরিবেশ ডেস্ক:নদীর প্রতি এই বিরূপ আচারণ এখনই বন্ধ না করলে কালের গহ্বরে হারিয়ে যাবে অধিকাংশ নদী। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার নদীপথ হারিয়ে গেছে। নদীর বহুমুখী সংকট থেকে উত্তরণ তাই আমাদের জন্যও জরুরি হয়ে পড়েছে। শুধু রাজধানী ঢাকা বা আশপাশে নয়। সারাদেশেই চলছে নদী,খাল, বিলসহ প্রাকৃতিক জলাধার দখল।
ধান নদী খালএই তিনে বরিশাল’ —একসময় বরিশালকে চেনাতে ব্যবহূত হতো এমন প্রবচন। কিন্তু সেই চিত্র বদলে গেছে। শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া খালগুলোর বেশির ভাগই অস্তিত্ব হারিয়েছে। কীর্তনখোলা নদীও দখল হচ্ছে।
বরিশাল শহরে একসময় ১৮টি বড় খাল ছিল। বরিশালের ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯০৬ সালের ১৫ এপ্রিল ভাটার খালে ভিড়েছিল কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বজরা। বজরায় অবস্থান করা বিশ্বকবিকে মুগ্ধ করেছিল বরিশালের রূপ। খাল-বিল-পুকুর-নদী পরিবেষ্টিত বরিশালের রূপে মুগ্ধ কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই নগরকে বাংলার ভেনিসআখ্যায়িত করেছিলেন।
বরিশালের খালগুলোর অন্যতম বটতলা খাল। শহরের বটতলা থেকে নবগ্রাম হয়ে ঝালকাঠি জেলার রায়পাশা-কড়াপুরে গিয়ে খালটি সুগন্ধা নদীতে মিশেছে। এলাকাবাসী জানান, আশির দশকের মাঝামাঝি সময়েও খালটিতে নৌকা

মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০১৫

ট্যানারির বিষাক্ততা থেকে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ





আমাদের পরিবেশ ডেস্ক: বাংলাদেশের ট্যানারির বিষাক্ততা থেকে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।এর প্রভাবে সৃষ্ট ব্যাপক স্বাস্থ্য সমস্যায় জবাবদিহিতা নেই বলেই মনে হচ্ছে। এর আগে হাইকোর্ট দেড় শত বা এর কাছাকাছি ট্যানারিকে জনবহুল, দূষিত হাজারিবাগ থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশ পালনে ব্যর্থতার ব্যাখ্যা চাইতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তলব করেছে হাই কোর্ট। হাজারিবাগে বসবাসকারীরা অভিযোগ করেছেন, তারা জ্বর, ত্বকের সমস্যা, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, ডায়রিয়ার মতো অসুস্থতায় ভুগছেন। ট্যানারির দূষণে বাতাস, পানি ও মাটির কারণে এসব রোগ হচ্ছে। এত দীর্ঘ সময়েও সরকার কেন এ শিল্পকে স্থানান্তর করার কাজ টেনে নিয়ে বেড়াচ্ছে সে বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে বক্তব্য শুনবে হাইকোর্ট। গত ১৮ মে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এসব কথা লিখেছেন রিচার্ড পিয়ারসহাউজ। এতে তিনি আরও লিখেছেন, ১৪ বছর আগে হাই কোর্ট সরকারের প্রতি রুল দিয়েছিল যে, এ শিল্প থেকে সৃষ্ট বর্জ্য যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থায় শোধন করা যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। এর জবাবে মন্ত্রণালয় শুধুই তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করচে। ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে প্রস্তুত হওয়ার কথা ছিল ঢাকা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা ট্যানারি এস্টেট।

পানি বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদ ড. আইনুন নিশাত





 তিস্তা বাংলাদেশ-ভারতের ব্যাপার এখানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আসল কোত্থেকে?


পানি বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদ ড. আইনুন নিশাত

 তিস্তার পানির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতে জলাধার নির্মাণ করে বর্ষার পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন পানি বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদ ড. আইনুন নিশাত। এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। বিষয়টি ঝুলিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে।তবে এই বিশেষজ্ঞের মত হচ্ছে, যা কিছু করার ভারতের সহযোগিতা নিয়েই করতে হবে। আর ভারতেরও উচিত এ ব্যাপারে আন্তরিক মনোভাব দেখানো।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাবিবুল্লাহ ফাহাদ

তিস্তার পানি প্রবাহের আসল চিত্রটা কী?

তিস্তার বিষয়টি তিনটি পর্যায় বুঝতে হবে। তিস্তাতে বর্ষাকালে প্রচুর পানি আসে এবং এর প্রবাহ আড়াই থেকে তিন লাখ কিউসেকে পৌঁছালে তিস্তা এলাকায় বন্যা এবং নদী ভাঙন হয়। জুন-জুলাই ও আগস্টে প্রচুর পানি আছে, যা আড়াই থেকে সাড়ে তিন লাখ কিউবিক ফিট পার সেকেন্ড। দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে এই পরিমাণটা নেমে আসে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। তখন ২৫ থেকে ৩০ হাজার কিউবিক ফিট পার সেকেন্ডে। তৃতীয় ফেব্রুয়ারি-মার্চে এটা পাঁচ থেকে ছয় হাজারে নেমে আসে। এই প্রাকৃতিক অবস্থা নিয়ে আমরা নদীর কথা বলছি।

শনিবার, ১৬ মে, ২০১৫

শেখ ফরিদ বা কালো তিতির







কাশ্মীর থেকে শুরু করে হিমালয়ের পাদদেশ ধরে নেপাল, ভুটান হয়ে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত এই পাখির বসবাস। সমতলে একমাত্র বাংলাদেশেই এদের সর্বত্র দেখা যেত। এখন বাংলাদেশের শেষপ্রান্তে হয়েছে এর শেষ ঠাঁই। জুন-জুলাই মাসে আখক্ষেতের জমিনে ডিম পেড়ে কোনোমতে বংশে বাতি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে তারা এ দেশে। কাজীপাড়া আর তেলিপাড়ার মানুষ এ পাখির নাম দিয়েছে শেখ ফরিদ। পাখিটির পোশাকি বাংলা নাম কালা তিতির। ইংরেজি নাম Black Francolin (ব্ল্যাক ফ্র্যাঙ্কোলিন) আর বৈজ্ঞানিক নাম Francolinus francolinus

বজ্রপাত থেকে কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন



প্রকৌশলী জি এম এম কামাল পাশা



বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ হলেও সবচেয়ে দাপুটে ঋতু হচ্ছে বর্ষা। প্রকৃতিতে পরিবর্তনের হাওয়া লেগে বর্ষা এখন শরত্ জুড়ে দীর্ঘায়িত। মেঘের গুরুম গুরুম আওয়াজ, সাথে ঝমঝমানি বৃষ্টি। কখনও টিপ টিপ, কখনও ঝরঝর, কখনও সাঁ সাঁ বেগে। সকাল-সন্ধ্যা দিগন্ত জুড়ে কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। বিজলী চমকে ওঠে থেমে থেমে। বজ্রের কান ফাটানো আওয়াজে ধরিত্রী কেঁপে ওঠে। বিজলী চমকে গিয়ে যখন গগনবিদারী আওয়াজ হয় তখন আমরা বলি ঠাটা পড়ছে। এই ঠাটা পড়াকেই বাজপড়া বা বজ্রপাত বলে ।

আমরা যারা গাঁয়ের ছেলে, বর্ষাকালে বজ্রের তান্ডব স্বচক্ষে দেখেছি। সকাল দুপুর ঝমঝমানি বৃষ্টি। বিদ্যুতের আলোরেখা ঝলক দিয়ে মেঘ এমনভাবে গর্জে ওঠে যেন আকাশ ভেঙে পড়ছে। দুরে বা কাছে কোথাও বাজ পড়ার বিকট শব্দ থেকে বাঁচতে কানের উপর হাত চাপা দিয়ে বারান্দা থেকে দৌড়ে ঘরে চলে যেতাম। যারা আরও ছোট ছিল তারা ভয়ে কেঁদেই ফেলত। এখনও দৈত্যের মত কালো মেঘের বুকে যখন বিজলী চিড়বিড়িয়ে ওঠে, বজ্রের গর্জনে ঘরবাড়ি কেঁপে যায়, মনে হয় জানালা দিয়ে ঠা-টা ঢুকে গেল ঘরের ভিতর, ভয়ে আল্লাহর নাম জপি মনে মনে।